২৭ মার্চ থেকে চালু হচ্ছে ভারতের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট

২৭ মার্চ থেকে চালু হচ্ছে ভারতের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট

শিগগিরই চালু হচ্ছে ভারতের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।

আগামী ২৭ মার্চ থেকে শত ভাগ ধারণ ক্ষমতা নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে আবারও নিয়মিত হবে দেশটির বিমান চলাচল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন বিষয়ক মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।
সোমবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে রাজ্যসভার এক বৈঠকে এ মন্ত্রী জানান, আগামী ২৭ মার্চ থেকেই আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রীদের সেবা দেওয়া শুরু হবে।

এখন যে ‘এয়ার বাবল’ ব্যবস্থায় সীমিত পরিসরে ফ্লাইট চলাচল করছে, ২৬ মার্চ মধ্যরাতের পর তা আর থাকবে না বলেও জানিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। করোনাভাইরসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ২০২০ সালের মার্চ মাসে ভারত সরকার অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয়।
ওই বছর মে মাসে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল শুরু হলেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।
পরে এয়ার বাবল ব্যবস্থার আওতায় ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে কয়েকটি দেশের নাগরিকদের ভারতে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক রুটে নিয়মিত ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা করেছিল ভারতের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু করোনার ওমিক্রন ধরনের দাপটে সংক্রমণ বেড়ে গেলে তা পিছিয়ে যায়।

Read more
ঝুঁকিতে সেন্টমার্টিন: ব্যর্থ পরিবেশ অধিদফতর

ঝুঁকিতে সেন্টমার্টিন: ব্যর্থ পরিবেশ অধিদফতর

লাগামহীনভাবে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকায় দেশের একমাত্র প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্টমার্টিনে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে।

স্থানীয় সূত্রমতে, সেন্টমার্টিনে স্থায়ী বাসিন্দা প্রায় ৯ হাজার হলেও প্রতিদিন রাত্রিযাপন করে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এ কারণে প্রকৃতির রূপ-সৌন্দর্য হারাতে বসেছে দ্বীপটি।

সেন্টমার্টিনে পরিবেশগত হুমকি দিনে দিনে চরম হয়ে উঠলেও পরিবেশ অধিদফতর কয়েকটি সাইনবোর্ড, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি এবং সভা-সেমিনারের মাধ্যমেই তাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রেখেছে। এছাড়া সেখানে অপরিকল্পিত ও অনুমোদনবিহীন দোকানপাট উচ্ছেদ এবং পর্যটকদের চাপ নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

দ্বীপটিতে প্রতিদিন অনিয়ন্ত্রিত পর্যটকদের যাতায়াত, অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ, পরিবেশ দূষণ, পর্যটকদের অসচেতনতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে সেখানকার ইকো-সিস্টেম অর্থাৎ প্রতিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কিন্তু বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতার কারণে দ্বীপটিকে বাঁচাতে কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্বচ্ছ নীল জলরাশি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিতে প্রতি বছর ভ্রমণে আসে হাজারো পর্যটক। পর্যটকদের চাপে দ্বীপের পরিবেশ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য নানামুখী আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ জন্য কাজ করছে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা। কিন্তু আইনের প্রয়োগ চোখে পড়েনি কোথাও। 

 দ্বীপজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে প্লাস্টিকজাত চিপসের প্যাকেট, আচারের প্যাকেট, পলিথিন, ক্যান, চায়ের কাপ, পানির বোতল, পানির প্লাস, ডাবের খোসা, ডাবের পানি খাওয়ার স্ট্র, খাবার প্যাকেট, ভাঙা চশমা বা কাঠি, মাছ ধরার জালের টুকরো, নাইলন দড়ির টুকরোসহ বিভিন্ন অপচনশীল বর্জ্য। এ ছাড়া ছোট-বড় শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁর পাশাপাশি সঙ্গে যোগ হয় গৃহস্থালির বর্জ্য।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, ‘দ্বীপকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের  কথা আমরা শুনি। কিন্তু বাস্তবে কিছু দেখতে পাই না।’

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কিছু সাইনবোর্ডে লাগানো হয়েছে কিন্তু  তারা পর্যটক এবং স্থানীয়দের স্বার্থে কিছুই করে না।’

পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, 'এনভায়রনমেন্ট পিপল'র প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, সেন্টমার্টিনের বর্তমান অবস্থা দেখলে মনে হয় সেখানে কোনো প্রশাসন নেই। সেন্টমার্টিনে ভবন নির্মাণ নিষিদ্ধ হলেও সেখানে প্রকাশ্যে গড়ে উঠছে একের পর এক বাণিজ্যিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ। যত্রতত্র প্লাস্টিকে সয়লাব পুরো দ্বীপ ও সৈকত। 

বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, ‘পরিবেশবিরোধী ময়লা-আবর্জনায় হারিয়ে যেতে পারে সামুদ্রিক শৈবাল ও জলজ উদ্ভিদ। নষ্ট হতে পারে দ্বীপের প্রকৃতি। এমনকি দূষণের কারণে মানচিত্র থেকে হারিয়েও যেতে পারে একমাত্র প্রবাল দ্বীপটি।’

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়ে ৩দিন আগেও চার রিসোর্টকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমাদের অভিযান নিয়মিতই হয়। তবে পর্যটকদের সতর্ক হতে হবে।’

হাজার পর্যটকের আগমনকে ঘিরে সেন্টমার্টিনে আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। অথচ সেন্টমার্টিন দ্বীপটি নানা স্থাপনা ও দূষণের কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এছাড়া এটি একটি পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। সেন্টমার্টিনকে বাঁচাতে হলে নিয়ন্ত্রিত পর্যটনের কোনো বিকল্প নেই।

এখানে ৬৮ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির মোলাস্ট বা কড়ি জাতীয় প্রাণি, ৪০ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৩৪ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, পাঁচ প্রজাতির ডলফিন, চার প্রজাতির উভচর প্রাণি, ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণি, ১২০ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির স্থন্যপায়ী প্রাণি, ১৭৫ প্রজাতির উদ্ভিদ, দুই প্রজাতির বাদুড়সহ নানা প্রজাতির বসবাস ছিল। এসব প্রজাতির অনেকগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। জলবায়ু পরিবর্তনের কঠিন সময়ে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এসব জীববৈচিত্র্য। অতিরিক্ত পর্যটক ও বসবাস দ্বীপের ভারসাম্য এবং জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করছে।

সেন্ট মার্টিনে যেকোনো ধরণের স্থাপনা গড়ে তোলার ব্যাপারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেগুলো উপেক্ষা করেই গড়ে উঠছে একের পর এক রিসোর্ট, হোটেল, মোটেল।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দ্বীপটির পরিবেশ ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে জানায়  পরিবেশ অধিদফতর।

এসব কারণে দ্বীপটির প্রবাল, শৈবাল, সামুদ্রিক কাছিম, লাল কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুকসহ নানা জলজ প্রাণী এবং জীব-বৈচিত্র্য এখন বিলুপ্ত হবার পথে।

Read more
সীমান্ত খুলছে সৌদি সরকার

সীমান্ত খুলছে সৌদি সরকার

শর্তসাপেক্ষে সীমান্তে বিধিনিষেধ শিথিল করতে যাচ্ছে সৌদি সরকার। বুস্টার ডোজ নেওয়ার শর্তে নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দিচ্ছে দেশটি। এছাড়া, বিশ্বব্যাপী করোনার প্রকোপে আন্তর্জাতিক চলাচলের ক্ষেত্রে নতুন কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছে তারা।

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘৯ ফেব্রুয়ারি থেকে সীমান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তিন মাস পর যারা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন, তাদের বিদেশে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে।’

এছাড়া সৌদিতে প্রবেশে ইচ্ছুক বিদেশিদের জন্য বিমানে ওঠার অন্তত ৪৮ ঘণ্টা আগে পিসিআর টেস্ট ও করোনার নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে আট বছরের কম বয়সীদের জন্য সনদের প্রয়োজন নেই।

দেশটিতে প্রবেশের পর বিমানবন্দরে কোনো যাত্রী করোনা পজিটিভ হলে বিশেষ শর্ত রয়েছে তাদের জন্য। শর্তানুযায়ী, ওই যাত্রীকে সৌদি সরকার অনুমোদিত টিকার দুই ডোজ গ্রহণ নিশ্চিত করে অন্তত ৭ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

উল্লেখ্য যে, বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ভ্রমণ নীতিমালায় যুক্ত নতুন শর্তগুলোর পাশাপাশি সংক্রমণ এড়াতে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সৌদি সরকার।

Read more
সৈকতে বসেছে যেন পর্যটকের মেলা

সৈকতে বসেছে যেন পর্যটকের মেলা

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের যেন মেলা বসেছে। টানা তিন দিনের ছুটি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবসের ছুটি। সেই সাথে শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। তারপর নেই করোনা, মৃদু শীতের জন্য আবহাওয়াও চমৎকার। পরীক্ষাও শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে।এখনইতো সুযোগ বেড়াবার। এই সুযোগে সব শ্রেণী-পেশার পর্যটকরা বঙ্গোপসাগরের মুখোমুখি সমুদ্র সীমারেখায় অবস্থিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ভ্রমণে আসছেন। 
অন্য ছুটির দিনের চেয়ে একটু যেনো আলাদা এবারের ছুটির আমেজ। টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজার পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। আনন্দে মাতোয়ারা পর্যটকরা পাল্টে দিয়েছে সৈকত দৃশ্যপট। তিল ধারণের ঠাঁই নেই সৈকতে। দলে দলে নামছেন তারা। প্রকৃতির বিশালতার কাছে যেন নিজেকে আত্মসমর্পণ করছেন।
একইভাবে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনও মুখর হয়েছে পর্যটকে। শহরের পার্শ্ববর্তী দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতেও  বেড়েছে পর্যটকের পদচারণা। এছাড়াও কক্সবাজারের ডুলাহাজারার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মহেশখালী, সোনাদিয়া, মাতারবাড়ি ও কুতুবদিয়াসহ আরো অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও ভিড় করছেন পর্যটকরা। 
এদিকে পর্যটক সমাগমের কারণে শহরসহ সৈকতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ। 
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বাংলাদেশ মনিটরকে বলেন, কক্সবাজার বিশ্বের অন্যতম উন্নত পর্যটন শহরে পরিণত হতে যাচ্ছে। উন্নত মানের সেবা না পেলে পর্যটকরা কক্সবাজার বিমুখ হতে পারেন। তিনি বলেন ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক পর্যটকদের নিরাপত্তা বিধানে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।
দেশের উত্তরবঙ্গের শেষ প্রান্ত নীলফামারী থেকে আশা পর্যটক ফয়সাল বলেন, ‘ছুটি পেয়েছি, তাই কক্সবাজারে চলে এসেছি। এখানকার অপরূপ প্রকৃতি খুব ভালো লাগে, কাছে টানে। ফলে ছুটির সময়টা এখানে পাহাড়, সাগর ও প্রকৃতি উপভোগ করব।’
এদিকে তিন দিনের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামায় হোটেল-মোটেলগুলোতে ঠাঁই মিলছে না। অনেকেই হোটেলে কক্ষ ভাড়া না পেয়ে সমুদ্রসৈকত ও সড়কে পায়চারি করছেন। পর্যটকদের অভিযোগ, হোটেল থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁ, যানবাহনসহ সবখানে বাড়তি ভাড়া ও অসদচারণের শিকার হওয়ার পাশাপাশি চরম হয়রানিতে পড়ছেন তারা।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির নেতা আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার বলেন, বিজয় দিবস উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটির সাথে অতিরিক্ত ছুটিতে কক্সবাজারে ব্যাপক পর্যটক এসেছেন এবং আসছেন। এই পর্যটক সামাল দিতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সাথে হোটেল মোটেল মালিক সমিতি ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পাঁচ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্টের কোম্পানি সেক্রেটারি আজহারুল মামুন বলেন, আমরা সবসময়ই হোটেলে আসা পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করেছি। অতিথিদের যেন কোনো রকম ভোগান্তি না হয়, সেটি নিশ্চিত করে আমরা স্বাস্থ্যবিধির বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখছি।

Read more
৫ হাজার ডলার ট্রাভেল ইনস্যু : লাগবে নেপাল যেতে

৫ হাজার ডলার ট্রাভেল ইনস্যু : লাগবে নেপাল যেতে

নেপালে এতদিন কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে প্রবেশ করা গেলেও বর্তমানে যাত্রীদের বিমার আওতায় আনা বাধ্যতামূলক করেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার পর ভ্রমণ বিধিনিষেধে পরিবর্তন এনেছে দেশটি। 
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে দেওয়া এক চিঠিতে নেপালের সিভিল এভিয়েশন জানায়, বাংলাদেশ থেকে কোনো যাত্রী নেপালে যেতে হলে তাকে পাঁচ হাজার ডলার অথবা সমপরিমাণ নেপালি রুপির কোভিড-১৯ ইনস্যুরেন্স করতে হবে। এ ইন্স্যুরেন্স নেপালে আসা যাত্রীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের খরচ বহন করবে। সব বয়সী যাত্রীর জন্য ইনস্যুরেন্স বাধ্যতামূলক।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স'র পরিচালক (গ্রাহক সেবা), ডঃ ছিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি বাংলাদেশ মনিটরকে নিশ্চিত করে বলেন, তারা নেপাল সিভিল এভিয়েশন থেকে এই মর্মে একটি চিঠি পেয়েছেন।
ইন্স্যুরেন্স না থাকলে ঢাকা বিমানবন্দরে যাত্রীকে বোর্ডিং পাস ইস্যু না করার অনুরোধ করেছে নেপালের সিভিল এভিয়েশন। আদেশটি ১৫ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স ছাড়া নেপাল সরকার দেশটিতে ভ্রমণে তেমন কোনো বিধিনিষেধ রাখেনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, মাস্ক পরে পর্যটকদের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দেশটিতে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ নিতে হবে।

Read more
ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ওমিক্রন থামাবে না: WHO

ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ওমিক্রন থামাবে না: WHO

দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। এর বিস্তার রোধে  দেশে দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। তবে এই পন্থায় ভাইরাসটির সংক্রমণ থামানো যাবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। 

ডব্লিউএইচও জানায়, টিকা নেওয়া এবং মাস্ক পরা কোভিডের এই স্ট্রেইনটির অগ্রযাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করবে।

সংস্থাটির ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক ড. হ্যান্স ক্লুজ বলেন, সংক্রমণ মোকাবিলায় বিভিন্ন ফ্লাইটে জারি করা নিষেধাজ্ঞা কাজে আসেনি। অনেক দেরি হয়ে গেছে। কারণ ওমিক্রন ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।

পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে বিভিন্ন দেশের সরকার ওমিক্রন শনাক্তের ঘটনায় আন্তর্জাতিক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও কড়াকাড়ি আরোপ করেছে। মহামারির শুরুতে বিলম্বিত পদক্ষেপ নেওয়ায় সমালোচনার মুখে থাকা বিশ্বনেতারা এখন দ্রুত পদক্ষেপ নিতে উদগ্রীব।

তবে অনেক বিশেষজ্ঞ প্রশ্ন তুলছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া কিনা। এর মধ্যেই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞাকে অকার্যকর বলে মন্তব্য করলেন ডব্লিউএইচও-এর ইউরোপের আঞ্চলিক পরিচালক ড. হ্যান্স ক্লুজ।

Read more
সেন্টমার্টিনে ফের জাহাজ চলাচল শুরু

সেন্টমার্টিনে ফের জাহাজ চলাচল শুরু

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব কেটে যাওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ থেকে চারটি পর্যটকবাহী জাহাজ ৭শ’ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিআইডব্লিউটিএ টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, জাওয়াদের প্রভাব কেটে যাওয়ায় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত না থাকা এবং সাগর স্বাভাবিক থাকায় পর্যটকবাহী চারটি জাহাজ দ্বীপে গেছে। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এখন দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরতে পারবেন।’
এর আগে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবের কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উপজেলা প্রশাসন। দুই দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। এখন দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরতে পারবেন।’

Read more
বাংলাদেশ ভ্রমণে ভিসা ফি দিতে হবে ভারতীয়দের

বাংলাদেশ ভ্রমণে ভিসা ফি দিতে হবে ভারতীয়দের

কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন জানিয়েছে এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গ অধিবাসীরা বাংলাদেশে যেতে হলে ভিসা ফি দিয়ে যেতে হবে। 
জানা যায়, ভিসা ফি কত হবে, তা এখনও নির্ধারণ না হলেও ৮৫০ রুপির সঙ্গে ট্যাক্সসহ মোট হাজার রুপির মধ্যেই থাকবে।
চলতি মাস থেকেই এই নিয়ম চালু হতে যাচ্ছে।
পাশাপাশি কলকাতার পার্কসার্কাস লাগোয়া ৯ নম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরণিতে অবস্থিত কলকাতার বাংলাদেশ মিশন এতদিন যে ভিসা দিত, তাও তাদের হাতে থাকছে না।
ভিসা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ কাজ ভারতের একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে দেওয়া হচ্ছে। সেটার অফিস হতে চলেছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে।
তবে ভিসা সংক্রান্ত সম্পূর্ণ কাজ কলকাতার বাংলাদেশ মিশনই তদারকি করবে।
উপ-হাইকমিশন সূত্রে জানা যায়, আরও উন্নত পরিষেবা দিতে এমন একটি পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে।
কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রথম এই নিয়ম শুরু করলেও 
আগামীতে নয়াদিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই, আগরতলা এবং গুয়াহাটিতে একই পদ্ধতি চালু করা হবে।
মূলত, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড় এবং সিকিম—এই ছয়টি রাজ্য কলকাতার বাংলাদেশ মিশনের ভিসা জোনের আওতাভুক্ত।
বছরে এই মিশন থেকেই কমবেশি দেড় লাখ ভারতীয়কে বাংলাদেশের ভিসা দেওয়া হয়ে থাকে।

Read more
এখনই সীমান্ত বন্ধ বা লকডাউন নয়

এখনই সীমান্ত বন্ধ বা লকডাউন নয়

দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় এখনই সীমান্ত বন্ধ ও লকডাউনের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। 
সীমান্তে স্ক্রিনিং ও পরীক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফ্রিকার দেশগুলো এবং ওমিক্রন আক্রান্ত অন্যান্য দেশ থেকে যারাই আসবেন তাদের ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনার টেস্ট করে আসতে হবে এবং দেশে তাদের ১৪ দিন নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম ওমিক্রন ঠেকাতে এসব সিদ্ধান্তের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন প্রস্তুতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করেন।
ওমিক্রন মোকাবিলায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রেখেছি। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় চিঠি দিয়েছি, তারা যেন ওমিক্রন মোকাবিলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

উল্লেখ্য যে, গতকাল পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৪০টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়েছে। এর মধ্যে পার্শ¦বর্তী দেশ ভারতেও ধরনটি শনাক্ত হয়েছে। এমন অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরে আগতদের ব্যাপারে সতর্ক নজরদারি রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

Read more
তুরস্কে যেন পর্যটকের ঢল নেমেছে

তুরস্কে যেন পর্যটকের ঢল নেমেছে

তুরস্ক ভ্রমণে বিদেশী পর্যটকদের ঢল নেমেছে। করোনা মহামারির মধ্যেই দেশটিতে গত বছরের চেয়ে কয়েক লাখ বেশি বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে এসেছেন।

দেশটির সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী মেহমেত নুরি ইরসোই জানিয়েছেন, তুরস্ক প্রথমবারের মতো ইউরোপের দেশ স্পেনের চেয়ে বেশি পর্যটককে আতিথ্য দিয়েছে।

দেশটির পার্লামেন্টের বাজেট ও পরিকল্পনা কমিশনকে এ তথ্য জানান সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী।

মেহমেত নুরি ইরসোই বলেন, সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১ কোটি ৭৬ লাখ বিদেশি পর্যটক তুরস্ক ভ্রমণ করেছেন। যা ২০২০ সালের এ সময়ের চেয়ে ৮৬ শতাংশ বেশি। শুধুমাত্র সেপ্টেম্বরেই ৩৫ লাখ মানুষ তুরস্ক ভ্রমণ করেছেন।

সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী বলেন, এ বছর পর্যটন খাত থেকে তুরস্ক ২২ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা করেছে। আশা করছে ২৮ মিলিয়ন (২ কোটি ৮০ লাখ) মানুষ ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ আমাদের দেশে ভ্রমণ করবেন।

‘চলতি বছর পর্যটন থেকে আমাদের আয় ২৪ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। তুরস্কে আসা পর্যটকরা প্রতিজন ২০১৮ সালে খরচ করতেন ৬৩০ মার্কিন ডলার। যা ২০২১ সালের প্রথম নয় মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩০ মার্কিন ডলারে।

গত বছর করোনার ভাইরাসের কারণে তুরস্কের পর্যটন খাত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  সে সময় মাত্র ১ কোটি ২৭ লাখ পর্যটক দেশটিতে ভ্রমণ করেছেন। সে বছর পর্যটন থেকে আয় ছিল ১২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিশ্বের ভ্রমণ পিপাসুদের অন্যতম গন্তব্য তুরস্ক। অবসর সময় পার করতে বা ছুটি কাটাতে ইউরোপ থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক ছুটে আসেন ইস্তানবুল, ইজমির, আঙ্কারা, কাপ্পাডোসিয়া ও এফেসাস শহরে।

Read more
পর্যটক টানতে মরিয়া পশ্চিমবঙ্গ

পর্যটক টানতে মরিয়া পশ্চিমবঙ্গ

করোনাকালে বিশ্বজুড়ে ধাক্কা খেয়েছে পর্যটন শিল্প। পশ্চিমবঙ্গেও মার খেয়েছে পর্যটন ব্যবসা। তাই এ বারের শীতে ভ্রমণপিপাসু বাঙালিকে আবারও পর্যটনের দিকে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।

শীতের মরসুমে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে ভিড় টানতে উদ্যোগী হয়েছে পর্যটন দফতর। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যের সব ক’টি জেলায় শুরু হচ্ছে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের অন্যতম উৎসব ‘বাংলা মোদের গর্ব’। এই উৎসবের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরকারের যোগসূত্র স্থাপন করতেই নতুন এই উৎসবের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আম জনতাকে তৎক্ষণাৎ প্রশাসনিক পরিষেবা দিতে দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই কায়দায় জেলাভিত্তিক উৎসবে জোর দিতে চালু হয়েছে ‘বাংলা মোদের গর্ব'। এ বারও ডিসেম্বর মাসকেই এই উৎসবের জন্য পাখির চোখ করছে রাজ্য।

সবক’টি জেলায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে। দফতরের কর্তারা বলছেন, ‘‘এক জেলায় একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দিন তিনেকের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, যেখানে বিখ্যাত শিল্পীদের পাশাপাশি অংশ নেবেন আঞ্চলিক শিল্পীরাও।’’

শীতের মরসুমের জেলায় জেলায় নানা মেলা ও উৎসব হয়। সেই মেলা তথা উৎসব দেখতে আসেন ভ্রমণপিপাসু মানুষ।

২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে লকডাউন হয় গোটা দেশে। তার পর ধীরে ধীরে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হলেও পর্যটন কেন্দ্রগুলি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। চলতি বছর করোনা ভাইরাসের টিকাকরণ গতি পেলে পর্যটন কেন্দ্রগুলিও খোলা শুরু হয়েছে। অল্পবিস্তর পর্যটকও আসছেন সেখানে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ শুরুর আগে পর্যটকদের যেমন ভিড় চোখে পড়ত, এখন আর তেমনটি হচ্ছে না। তাই দফতরের পক্ষ থেকেই পর্যটকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ভীতি কাটিয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে উৎসাহ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর সেই পর্যায়েই চলতি মাসে জেলা জেলায় শুরু হবে ‘বাংলা মোদের গর্ব’। প্রতিটি জেলার যে নিজস্ব সংস্কৃতি ও লোকশিল্পকে তুলে ধরা হবে এই উৎসবগুলিতে।

 
দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘ধীরে ধীরে পর্যটকরা খোঁজখবর নিয়ে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন। আমাদের কাজ এমন সব উদ্যোগে ভ্রমণপিপাসু মানুষদের উৎসাহী করা। তবে অবশ্যই করোনাবিধি মেনে।’’

Read more
আফ্রিকার ৭ দেশ থেকে এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন

আফ্রিকার ৭ দেশ থেকে এলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সংক্রমণ রোধে আফ্রিকা মহাদেশের ৭ দেশ থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের জন্য ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আজ শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) রাতে এক জরুরি নির্দেশনায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বতসোয়ানা, লেসোথো, ইসোয়াতিনি, ঘানা, নামিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে থেকে আসা ব্যক্তিদের ১৪ দিন নিজ খরচে কোয়ারেন্টিন করতে হবে। 

এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনার আগেই হোটেল বুকিং করতে হবে। যেকোনো দেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে যাত্রার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। 

এছাড়া আগত যাত্রীদের হোটেলে থাকা অবস্থায় ৭ম ও ১৪তম দিনে করোনাভাইরাস শনাক্তের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানো হবে। কোনোটির ফলাফল পজিটিভ এলে তাকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হবে।

গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। পরে বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশে এ  ধরনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।  বাংলাদেশে এখনো কারো শরীরে ওমিক্রন শনাক্তের খবর পাওয়া যায়নি।

Read more